DinajpurBD

পঞ্চগড়ে চা চাষে নীরব বিপ্লব

Posted January 9th, 2011 by |

পঞ্চগড়ে চা চাষে নীরব বিপ্লব

আতাউর রহমান কাজল, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার)

amardesh 09.01.2011 

দেশের উত্তর জনপদের পঞ্চগড়ে চা চাষ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও সিলেটের পর পঞ্চগড় অন্যতম চা অঞ্চল হিসেবে এরই মধ্যে দেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত মৌসুমে (২০১০) পঞ্চগড় জেলায় ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৮০৫ কেজি চা উত্পাদন হয়েছে, যা ২০০৯ সালের তুলনায় ২ লাখ ১১ হাজার ৫১ কেজি বেশি।
২০০৯ সালে পঞ্চগড়ে চা উত্পাদন হয়েছিল ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৭৫৪ কেজি। অপরদিকে ২০০৮ সালে এ জেলায় চা উত্পাদন হয় ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৩২৪ কেজি। ২০০৫ সালে যাত্রা শুরুর বছর ওই জেলায় চা উত্পাদন হয়েছিল ১ লাখ ৬১ হাজার ২২৬ কেজি। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পঞ্চগড়ে প্রতি বছর চা উত্পাদন বাড়ছে।
শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ চা বোর্ড সূত্র জানায়, অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ ও রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ চা বোর্ড দেশের নতুন নতুন এলাকায় চা চাষ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় পরীক্ষামূলক কার্যক্রম হাতে নেয় চা বোর্ড। ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট ও বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের একটি চা বিশেষজ্ঞ দল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলায় জরিপ চালিয়ে চা চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। ২০০০ সালের ২ এপ্রিল তেঁতুলিয়া উপজেলায় চা চাষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট সূত্র জানায়, বর্তমানে পঞ্চগড় জেলায় ২ হাজার ৩৯২ দশমিক ১৫ একর জমিতে চা চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে কাজী অ্যান্ড কাজী, তেতুলিয়া টি কোম্পানি ও করতোয়া কারখানায় চা উত্পাদন হচ্ছে। কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট তাদের নিজস্ব বাগানে উত্পাদিত সবুজ পাতা প্রক্রিয়াজাত করে অর্গানিক চা তৈরি করে।
পঞ্চগড়ে অবস্থিত বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আমির হোসেনের সঙ্গে সেলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ জেলায় এখন ৮টি চা বাগান, ১৫ জন ক্ষুদ্র চা খামারি ও ১৯০ জন ক্ষুদ্র চাষী চা চাষে যুক্ত আছেন। ফলে গত কয়েক বছরের মধ্যেই পঞ্চগড়ে চা চাষে ঘটে যায় বিপ্লব। তিনি আরও জানান, উত্তর জনপদের পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলায় চা চাষ উপযোগী প্রায় ৪০ হাজার একর জমি রয়েছে। এসব জমিতে চা আবাদ বাড়িয়ে উন্নতমানের পরিচর্যা নিশ্চিত করতে পারলে আগামীতে ওই দুই জেলায় চায়ের উত্পাদন হেক্টরপ্রতি ৩ হাজার কেজি দাঁড়াবে বলে চা বোর্ড আশা করছে।

https://www.amardeshonline.com/pages/details/2011/01/09/62260